শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মুহাম্মদপুর গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৩জন গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মুহাম্মদপুর গ্রামের সাহেল আহমদ ও শফিক মিয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ববিরোধ চলছিল। যার জের ধরে মঙ্গলবার
সাহেল আহমদ নিজ জমির ধান কেটে নিয়ে আাসার পথে শফিক মিয়ার বাড়ির সামনের জায়গায় মাড়াই দিতে গেলে শফিক মিয়া এতে বাধা প্রদান করেন এবং গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে শফিক মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুকের গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে সাহেল আহমদের পক্ষের রায়হান মিয়া (৩৫), বাবর মিয়া (২৬) ও রানা মিয়াকে (৩২) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং শফিক মিয়ার পক্ষের শফিক মিয়া (৪৫) ও জাহাঙ্গীর মিয়াকে (২৪) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করা হয়েছে।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে সাহেল আহমদ বাদী হয়ে বুধবার জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সাহেল আহমদ বলেন, প্রতিপক্ষ শফিক মিয়ার লোকজন দুর্র্ধষ ডাকাত ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা চলছে। আমাদের জায়গায় ধান মাড়াই করতে গেলে শফিক মিয়ার লোকজন বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আমাদের ৩জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর
আহত হন।
অপরদিকে শফিক মিয়ার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। বুধবার জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ‘জগন্নাথপুর নিউজ ডটকম’কে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার জগন্নাথপুর সার্কেল মাহমুদুল হক চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেফতারে আমরা সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply